চাল চুরির অভিযোগে ইউপি সদস্য আটক

প্রকাশিত: ১:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; লালমোহনের বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশ থেকে সরকারি চাল উদ্ধার করার ঘটনায় অবশেষে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাতিজা ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ওমরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর। ওমর মেম্বারকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে লালমোহন থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশ থেকে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ও মিলের কাঠের গুড়োর মধ্যে লুকিয়ে রাখা সরকারি ১৫ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ। আরও কয়েকটি বাড়িতে চাল লুকিয়ে রেখেছিল ওমর মেম্বার। অভিযান চালানো হলে অনেকগুলো চালের বস্তা গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়।

জানা গেছে, বুধবার থেকে বদরপুর ইউনিয়নে জেলে পুনর্বাসনের চাল দেওয়া হয়। দুই মাসের চাল খাদ্য গুদাম থেকে ছাড় দেওয়া হলেও চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুল হক তালুকদার ১ মাসের চাল নিয়ে বিতরণ করেছেন। ১৭১০ জন জেলের মধ্যে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও প্রকৃত অধিকাংশ জেলেকেই চাল দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ও তার ভাতিজা ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওমরসহ প্রতিবারই চাল বিতরণের সময় অনিয়ম করে আসছেন। চাল ওজনে কম দেওয়াসহ নামে বেনামে চাল নিয়ে বিভিন্নভাবে পরিষদের গুদাম থেকে সরাচ্ছেন তারা। চেয়ারম্যান ও তার ভাতিজা ওমরের নেতৃত্বে তাদের নিকটাত্মীয় ও পছন্দের লোকদের জেলে সাজিয়ে নামে বেনামে জেলেদের চাল তোলা হয়। পরে ওই সব চাল পরিষদের পাশে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। এমন অভিযোগ আসলে ভোলা-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রশাসনকে চাল উদ্ধার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে ট্যাগ অফিসার রফিকুল ইসলাম, পিআইও অপূর্ব দাস ও লালমোহন থানার পুলিশ পরিষদ এলাকায় অভিযান চালান। শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালান তারা।

ওমর মেম্বারের এলাকা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের ঘর থেকে ৪ বস্তা, ওমর মেম্বারের কর্মী সুমন ড্রাইভারের ঘর থেকে ৯ বস্তা ও পরিষদের পাশে স্ব-মিল এর কাঠের গুড়োর মধ্যে লুকিয়ে রাখা আরো ২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আরো কয়েকটি ঘর থেকে চাল সরিয়ে ফেলা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুল হক তালুকদার এ ব্যাপারে বলেন, এসব চাল কার্ডধারী জেলেদের। জেলেরা চাল পেয়ে বিক্রি করেছে।

ট্যাগ অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, আমি জেলেদের নিয়মমতো চাল বিতরণের তদারকি করেছি। তারপরও এসব চাল কিভাবে বাইরে বের হলো তা বিস্ময়ের। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।