খুলনা কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত ৬১ কয়েদীকে মুক্তির সুপারিশ

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০

আতিয়ার রহমান,খুলন: করোনা সংক্রামন রোধে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী লঘু সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীরা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তির তালিকায় রয়েছেন ৬১জন লঘু সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী। তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে মহা কারা পরিদর্শক (আইজি প্রিজন) বরাবর।

ছোটখাটো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এসকল কয়েদীরা অনেক দিন ধরেই খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এসকল লঘু সাজাপ্রাপ্ত কয়েদদীদের কারাবাস কালীন আচার-আচরনসহ সার্বিক বিবেচনার পর সম্ভব্য সাধারণ ক্ষমার তালিকাভুক্তি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে খুলনা কারাগারের জেলার মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রামন রোধে লঘু সাজাপ্রাপ্ত কয়েদীদের সাধারন ক্ষমার আওতায় আনার জন্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খুলনা জেলা কারাগারে থাকা লঘু সাজাপ্রাপ্ত ৬১জন কয়েদীর নামের তালিকা আইজি প্রিজন বরাবর প্রেরন করা হয়েছে। পরবর্তি নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে খুলনা জেলা কারাগারে দেড় সহশ্রাধিক বন্দি ও কয়েদী রয়েছেন। যা ধারন ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রামন রোধে ছোটখাটো অপরাধে যারা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আছেন এমন আসামিদের মুক্তির বিষয়ে ভাবছে সরকার। কী প্রক্রিয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া যায় সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হত্যা, ধর্ষণ ও অ্যাসিড মামলার আসামি ছাড়া বাকিরা, যারা দীর্ঘদিন কারাগারে আছেন তারা এর আওতায় আসবেন। গত সোমবার গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসসহ কয়েকজন সচিবও উপস্থিত ছিলেন। গত ৬এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমে বলেন, ‘দীর্ঘসময় যারা কারাবন্দী সেইসব আসামিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রক্রিয়া ঠিক করা হবে।