কাঁচা মরিচ-কমুড়া ১৫ টাকা কেজি

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; দিনাজপুরের পার্বতীপুরে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কাঁচা মরিচ, লাল শাক, সবুজ শাক, মিষ্টি কমুড়া বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫ টাকা। করোলা, বেগুন, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ফুটকি বেগুন আর পুঁইশাক পাওয়া যাচ্ছে ৫ টাকা কেজিতে। লাউ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকায়।

অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা, রসুন ৬০, আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তবে পটল আর সজনের দাম এখনও চড়া। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০ ও ৫০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগি ১১০ টাকা, কক ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগী ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম হালি প্রতি (ব্রয়লার) ২৪ টাকা, হাঁসের ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ টাকা হালি। শুক্রবার সকালে পার্বতীপুরের নতুন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। উপজেলার ১০ ইউনিয়নের হাট বাজার ঘুরে জানা গেছে, শাক-সবজি, পেঁয়াজ, রসুনসহ সব কিছুর দাম পড়ে গেছে। জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা রহিদুল বলেন, করোনার কারণে এখানকার শাক সবজি এখন বাইরে যেতে পারছে না।

জমিরহাটের বেগুন চাষি আব্দুর রহমান বলেন, প্রতি বছর রোযার আগে বেগুনের দাম উঠে যায় ১০০ টাকার ওপরে। সারা বছর ৩০/৩৫ টাকায় কেনাবেচা হয়। আর এখন সেই বেগুন তোলার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। আর পেলেও দিনমজুরের পারিশ্রমিক আর ভ্যানের টাকা দিয়ে বেগুনের দাম উঠে আসে না।

খয়েরপুকুর হাটের আলু চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার আগে এই আলু বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। এখন ২৫ থেকে ২৮ টাকা। কৃষক রইচ উদ্দীন বলেন, কৃষকের উৎপাদিত সব পণ্যের দাম পড়ে গেছে। কৃষকের গোলার ধান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে চালের দাম বেড়ে গেছে মণ প্রতি ৪শ থেকে ৫শ টাকা। চালের আড়তদার নিমাই বাবু বলেন, দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মিল মালিকরা। এদিকে, মাছের বাজার প্রতিদিন ওঠা নামা করছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আড়তদার আমজাদ হোসেন বলেন, যে দিন বাইরে থেকে আমদানি বেশি হয় সে দিন দুই কেজির ওপরের রুই, মৃগেল, হাঙ্গরি বিক্রি হয় ২৫০ টাকা কেজি। বাইরে থেকে আমদানি না হলে একই সাইজের মাছ বিক্রি হয় ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা কেজি।

মাছের খুচরা বিক্রেতা নওশাদ ও ভূট্টো বলেন, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকে বাজারে। তবে এবার করোনার কারণে ইলিশের ক্রেতা নেই বললেই চলে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়। ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭শ/৮শ টাকায়।