অবশেষে সেই বৃদ্ধার বাড়িতে গেলেন ইউএনও

প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : “ইউয়োনো স্যার মেলা মানুষোক দ্যাচে; হামাক কোন দিন দিবে?” শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন প্রোটাল এ স্থানীয় সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ এর লেখা একটি স্বচিত্র রিপোর্ট গতকাল শনিবার প্রচারের পর- ইউএনও মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে অবশেষে সেই বৃদ্ধার বাড়িতে আজ রোববার বেলা সাড়ে ৯টায় সরকারি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন নওগাঁর পতœীতলা ইউএনও মো: লিটন সরকার।

করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই যখন ঘরে, তখন শ্রমহীন মানুষদের পাশে সরকারের পাশাপশি বিভিন্ন সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে ত্রাণ অনেকের ঘরে পৌঁছালেও নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার গাহন গ্রামের নিঃসন্তান বিধবা রোকেয়া বেগমের (৭০) কাছে এখনো পোঁছেনি কোন আর্থিক সাহায্য কিংবা ত্রাণ সামগ্রী।

পান না কোন প্রকার সরকারি ভাতা! এমতাবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। এতে খেয়ে-না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। তিনি উপজেলার মৃত রহিম উদ্দীন অরফে ধলুর স্ত্রী ও পাটিচরা ইউনিয়নের গাহন গ্রামের চকপাড়ার বাসিন্দা।

জানা যায়, মাস সাত আগে তার স্বামী মারা যান। তিনি নিঃসন্তান! বাঁশের বেড়া আর টিনের ছাউনির একটি ঘরে বসবাস। স্বামী বেঁচে থাকতে বয়স্ক ভাতার টাকা তুলে সংসারের কাজে আসতো আর্থিক উপকার। কিন্তু, বর্তমানে অচলাবস্থায় দিন কাটছে।

রোকেয়া বেগম বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর এক দিন পর ইউপি মেম্বার স্বামীর ভাতার কার্ড নিয়ে গেলেন আর বল্লেন, তোমার নামে কার্ড দেওয়া হবে। কিছু দিন পর দুই হাজার টাকা দিয়ে গেল। কিন্তু, আর কোন খবর নাই। আমি বয়সের ভারে অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারি না। এখন আমার কি হবে? ঘরে টাকা-পয়সাও নাই-চালও নাই।”

রোকেয়া বেগম কাঁদতে-কাঁদতে চোখের পানি মুছতে-মুছতে করুণ সুরে আরো জানান, “ইউয়োনো স্যার মেলা মানুষোক দ্যাচে; হামাক কোন দিন দিবে? আল্লাহ্ জানে।”