চাঁপাইনাবাবগঞ্জে সীমান্তের শূন্য রেখায় পাঁচ বিঘা এলাকাজুড়ে গাঁজা চাষ

প্রকাশিত: ৫:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২০

ফয়সাল আজম অপু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে : সীমান্তে চাষ হওয়া এসব গাঁজার চারা নিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস বলছে এগুলো গাঁজার গাছ। আর বিজিবি বলছে এগুলো ভাঙের গাছ। তবে, শুক্রবার (৩ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক রায়হান খান শূন্য রেখায় এই চাষ করা এই গাছগুলো গাঁজার গাছ বলে নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ভারত সোনামসজিদ সীমান্তের ১৮৫ নম্বর পিলারের ৯ ও ১০ এর পিলারের মধ্যে একটি জমির প্রায় ৫ বিঘা এলাকাজুড়ে এসব গাঁজার চাষ করা হয়েছে।

আম বাগানের মধ্যে বিভিন্ন বনফুলের আড়ালে এসব গাজা গাছ রোপণ করা হয়েছে। গাঁজার গাছগুলো কোনোগুলো ছোট আকারে আছে। আবার কোনো কোনোটিতে এসেছে ফুল।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই এখানে গাঁজার চাষ করা হচ্ছে। এসব গাছ যখন অনেক বড় হয়, তখন এগুলো বস্তায় ভরে নিয়ে যান মালিকরা। তবে এলাকার কিছু লোকজনও তা সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। এলাকায় এসব গাছের বেশ চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এ বাগানের মালিক ভারতীয় হওয়ার কারণে তারা কিছু করতে পারছেন না।

এবিষয়ে, সোনামসজিদ বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার ইসমাইল হোসেনকে জানানো হলে তিনি সেখানে তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠান। প্রতিনিধি দলটি এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এবং গাছগুলোকে ভাঙের গাছ বলে চিহ্নিত করে চলে যান। এবং যাওয়ার সময় তিনি কিছু গাছ তুলে নিয়ে যান।

বিষয়টি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক রায়হান খান জানান, এগুলো গাঁজার গাছ। এগুলো এখন ছোট আছে। বড় হলে এগুলোর গন্ধ বাড়বে। তখন মানুষ বুঝতে পারবে। তবে গাঁজা বা ভাঙ যা-ই হোক না কেনো দুটোই নিষিদ্ধ।

নামের ভিন্নতা থাকলেও মূলত দুটি একই বস্তু। এটি নেশার উদ্দেশ্যে চাষ কারা হয়েছে। যেহেতু ভারতের মাটিতে সেগুলো চাষ করা হয়েছে, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।

তবে, এগুলোর ছবি ও ভিডিও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভরতীয় বিএসএফের কাছে পাঠানেরা ব্যবস্থা করা হবে। তারা এবিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এই পরিদর্শক।