জুন পর্যন্ত কোনো কিস্তি আদায় নয়, তবে ঋণ দেওয়া যাবে দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২০ স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে পড়েছে করোনাভাইরাসেরর প্রভাব। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে থাকাতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু যাদের মাথায় ক্ষুদ্রঋণের বোঝা, তারা কী করবেন? বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে তাদের। কারণ ঋণ তো পরিশোধ করতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। সংস্থাটি জানায়, দেশের যেসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন সেসব প্রতিষ্ঠান আগামী জুন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করতে পারবে না। গত ২২ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সনদপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। তারপরও এ প্রজ্ঞাপনের ভুল ব্যাখা দিয়ে দেশের কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই বিষয় স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য বুধবার (২৫ মার্চ) আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। এতে বলা হয় করােনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি অপরিশােধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানাে যাবে না। অর্থাৎ এই সঙ্কটময় সময়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদেরকে কিস্তি পরিশােধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশােধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। একইসঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে কাউকে ঋণ দিতে চায় সেটা দিতে পারবে। এ প্রজ্ঞাপনটি সনদপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকটও পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিরাজমান করােনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবের কারণে এই অথরিটির সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের ঋণগ্রহীদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের সহযােগিতার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ গত ২২ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ইস্যুকৃত সার্কুলারে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ঋণের শ্ৰেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না এবং কোনো ঋণের শ্ৰেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে মর্মে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে ওই সার্কুলার এর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের নিকট অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হওয়ায় সার্কুলারে বর্ণিত বিষয়াবলি অধিকতর স্পষ্টীকরণের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি অধিকতর স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে জানানাে যাচ্ছে যে, করােনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি অপরিশােধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানাে যাবে না। অর্থাৎ এই সংকটময় সময়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণগ্রহীতাদেরকে কিস্তি পরিশােধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশােধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। উল্লেখ্য, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নতুন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্ণিত সার্কুলার লেটারের মাধ্যমে কোনোরূপ নিষেধাজ্ঞা আরােপিত হয়নি। Share this:FacebookX Related posts: জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব ফি মওকুফ করোনাভাইরাস : দেশের সব বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা ৫০-৬০ টাকায় নামল পেঁয়াজের দাম স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকান বন্ধ : মালিক সমিতি বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে দোকান-শপিংমল ৮ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল বাংলাদেশকে ৯ হাজার কোটি ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক এবার কোরবানির পশু আসবে ট্রেনে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে দেশে ঋণখেলাপি ৩ লাখ ৩৫ হাজার SHARES Matched Content অর্থ বাণিজ্য বিষয়: ঋণ দেওয়া যাবেকিস্তি আদায় নয়কোনোজুন পর্যন্ততবে…