দেশে করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও জানান, দেশে নতুন চারজনসহ মোট ২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

মৃত ব্যক্তির বয়স ৭৩ বছর জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ৫০ জন কোয়ারেন্টাইনে এবং ১৪ হাজার জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

‘মার্চের শুরু থেকে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, আত্মগোপনে থাকলেও তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে,’ উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টি ইনস্টিটিউট ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে শিগগিরই ১০০টি নতুন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে ৪০০টি আইসিইউ স্থাপন করা হবে।

চীন সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা বেশ কিছু করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কিট দেবে এবং ৩ লাখ মাস্ক দেবে। আমরাও মাস্ক তৈরি করছি।’

চীন থেকে বিশেষজ্ঞ আনার কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে উহানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে সকল ডাক্তার ও নার্স কাজ করেছেন। এ নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

বৈশ্বিক মহামারি ‍করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৯৮ জনে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৬১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৭ হাজার ৭৬৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৩১০ জনের মধ্যে ৯১ হাজার ৯১২ জন (৮৯ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ১১ শতাংশ রোগী মারা গেছেন।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।