স্পেশাল ফ্লাইটে আমেরিকানদের ফিরিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় থাকা আমেরিকানদের ফিরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে মার্কিন দূতাবাস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এক জরুরি বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এমনটাই জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই আমেরিকানদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানান রবার্ট মিলার।

এ বৈঠকে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র জাপানসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। আলোচনায় ৬ রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই জরুরি বৈঠক করেন।

মার্কিন নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সহায়তা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন রবার্ট মিলার। তবে কবে নাগাদ ওই ফ্লাইট আসবে এবং তাতে কতজন আমেরিকান ফিরবেন তা তিনি তাৎক্ষণিক জানাননি।

এদিকে বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধি রেন্সজে তেরিঙ্ক জানিয়েছেন, ইউরোপের ৯ নাগরিক তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে বুকিং দিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার থাই এয়ার জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের ভয়াবহতার আশঙ্কায় তারা তাদের সব ফ্লাইট বন্ধ করতে যাচ্ছে। তাদের বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। ফলে ওই ইউরোপিয়ানদের গন্তব্যে ফেরাতে দূতাবাসগুলোকে বিকল্প পথ খুঁজতে হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন ব্রিটেন, জাপান, ইতালি ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত।

করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ডা. খলিলুর রহমানের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ, পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ, কনস্যুলার ও কল্যাণ, আফ্রিকাসহ সংশ্লিষ্ট ৫ মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কূটনীতিকদের উদ্দেশে বলা হয়- বিদেশি কূটনীতিকদের বিষয়ে সরকার বিশেষ নজর রাখছে। কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে রাজধানীর ৩টি নির্দিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসিইউ ফ্যাসিলিটিজ সমৃদ্ধ একটি ফ্লোরই প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ৮টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। উত্তরার একটি হাসপাতালেও কূটনীতিকদের চিকিৎসার কথাবার্তা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকায় থাকা বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশিদের মতোই যখন যেখানে সম্ভব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ তার সাধ্য মত বিদেশিদের বিষয়গুলো দেখভাল করবে। উন্নত চিকিৎসা বা সুরক্ষার জন্য বিদেশিরা তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে বিশেষ প্লেন কিংবা এখনও খোলা রয়েছে এমন ৪ রুট ব্যবহার করতে পারেন।